![](http://trustnews24.com/wp-content/uploads/2021/02/image-391140-1612642680.jpg)
সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইনে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে সরকারে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি ও প্রাণহানি হচ্ছে। গত ৩ মাসে কয়েক দফা তেলবাহী ট্রেনের বগি (ওয়াগন) লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় কয়েক লাখ লিটার তেল পড়ে নষ্ট হয়েছে। এতে সরকারকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।
সর্বশেষ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ের বিয়ালীবাজারের কাছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দীর্ঘ ২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ শনিবার ভোরে স্বাভাবিক হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তেলবাহী ট্রেনের ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার লিটার তেল নষ্ট হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রেলওয়ে সূত্র। তেলবাহী এ ট্রেনে যমুনা ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির তেল ছিল। দুর্ঘটনার পর থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত জলাশয়, পুকুর ও কৃষি জমি থেকে বালতি, জগ, মগ ও বোতল দিয়ে তেল ও ডিজেল সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে সরকারকে কোটি টাকার উপরে লোকসান গুনতে হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮০০ মিটার রেললাইন। এ দুর্ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলের বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা খায়রুল কবিরকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান যুগান্তরকে বলেন, কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কি কারণে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যথাযথ কারণ খুঁজে বের করবে। জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসাবে পরিচিত ঢাকা-সিলেট রেলপথের সিলেট-আখাউড়া সেকশনে গত তিন মাসের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বার তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল। তিনটি দুর্ঘটনার পরই তেল নিয়ে রীতিমতো হরিলুট লেগে যায়।
সূত্র জানায়, গত বছরের ৭ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলে একটি তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ এক কোটি ৪ লাখ টাকার তেল নষ্ট হয়। এসময় দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। রেললাইনে ওয়াগন থেকে জ্বালানি তেল পড়ে সরকারের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের মাধবপুরে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে প্রায় ২৬ লাখ টাকার তেল নষ্ট হয়।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪