দিনাজপুরের চিরিবন্দরে মিরাজ হোসেন (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ৫ জন কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
মিরাজ হোসেন উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীরবন্দর গরুহাটির আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে নশরতপুর পল্লি উন্নয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল।
ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করার ঘটনায় মিরাজের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রের বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে মিরাজ সাইকেল নিয়ে রাণীরবন্দর বাজারে যায়। পরে রাত ১০টা পার হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করি। রাত সাড়ে ১০ টার সময় জানতে পারি আমার ছেলের গলাকাটা মরদেহ নাকি রাস্তার ধারে পড়ে আছে। ঘটনা স্থলে গিয়ে মিরাজের সঙ্গে থাকা সাইকেলসহ রাস্তার ধারে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাই।
জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে এক বন্ধুর কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ধার নিয়েছিল মিরাজুল ইসলাম। ওই টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। ঘটনার রাতে মুঠোফোনে কল করে মিরাজুলকে আসতে বলে ওই বন্ধু। পরে মিরাজুল, সে ও তাঁদের আরেক বন্ধু মিলে বাজার থেকে বিলের দিকে আড্ডা দিতে যায়। সেখানে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে মিরাজুলের গলায় ছুরিকাঘাত করে তৃতীয় বন্ধুটি। মৃত্যু নিশ্চিত করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি পাশের ভুট্টাখেতে ফেলে দেয়। এরপর পরনের কাপড় খুলে বাড়ির অদূরে একটি ময়লার স্তূপে ফেলে দিয়ে খালি গায়ে বাড়িতে যায়।
চিরিবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রশিদ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। পাঁচ কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ বিভিন্ন কৌশলে কাজ করছে।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪