যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভিসানীতি প্রয়োগ করা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কি ২০০১ সালের অবৈধ নির্বাচনের কথা ভুলে গেছে? ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, হ্যাঁ-না ভোটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে এই সচেতনতা তখন তাদের কোথায় ছিল?
বিদেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের চেষ্টার বিষয়েও সতর্ক করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “নির্বাচন বানচালের চেষ্টা দেশের বাইরে থেকে যেন না হয়।
এটি হলে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ (যারা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে) দিয়ে দেবে।”প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর হোক তা আমরাও চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় বিরোধীদের কথাও বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র পোড়ানো, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ভিসানীতির কারণে এবার তারা হয়তো এত দূর যেতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসানীতির একটি সুবিধা হলো, এবার তারা (বিএনপি) জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই। তবে তিনি বলেন, জনগণের ওপর নির্ভর করে তিনি ক্ষমতায় আছেন। তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। সেখানে তাঁর পরিবার আছে। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে। আমাদের তো বাংলাদেশ আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভিসানীতি প্রয়োগ করছে তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। তারা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে কী করছে? আমরাও তো এতটা করি না!’