কুমিল্লা প্রতিনিধি এ.কে পলাশ :
কুমিল্লা মগের মুল্লুক হয়ে গিয়েছিল এখানে নি:স্বাস নেওয়ার কোন পরিবেশ ছিলনা। এখানে দলীয়করণ এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যেটা বিশ্লেষণ করার ভাষা আমার কাছে নেই। সে সময় তাদের অনেক দলীয় লোককেও বলতে শুনেছি- ‘ভাই বড় বিপদে আছি।’ কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লার নবাগত জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের সাথে কুমিল্লার সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ এবং পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানে দলীয় করণের চরম পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপূর্ণ যে অরগানাইজেশন গুলো আছে সেখানে পরিবর্তন করে দায়িত্বশীল বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আনার প্রশ্নে আমি শতভাগ একমত। এক দলীয়করণ চলে গিয়েছে আমি দলীয়করণ চাইনা আমি যোগ্য লোকের যোগ্য জায়গায় অবস্থান চাই। কুমিল্লার মেজর সমস্যা স্মাগলিং। এক্সপোর্ট বন্ধ হলেও স্মগলিং বন্ধ হয় নাই। কুমিল্লার আরো একটি সমস্যা হলো ড্রাগ। এখানে ড্রাগ বিক্রি হয় এখান দিয়ে ড্রাগ ট্রানজিট হয়। এটা কুমিল্লাকে ধ্বংস করছে এবং এই ট্রানজিটের কারণে সারা বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়টি জানা বেশি কঠিন মনে হয়না। যদি আপনারা সহযোগীতা চান তাহলে আমরা জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে যত ধরনের সহযোগীতা প্রয়োজন আমরা করবো। সঠিক ও সুন্দরের জন্য আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগীতা করতে আমরা প্রস্তুত।
কুমিল্লার যানজটের প্রসঙ্গ টেনে হাজী ইয়াছিন বলেন, যানজট এই মুহূর্তে একটি মেজর সমস্যা। শুধু কান্দিরপাড় নয় আপনি সারা কুমিল্লাতে পদুয়ারবাজার বিশ্বরোডে, যে জ্যাম সেটার আসলে প্রধান কারণটা কি। সেটা খোজে বের করতে হবে। বাস থেকে যারা টাকা নেয় তারা ভালো মানুষ না। তাদেরকে খুজে বের করতে হবে। পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে কান্দিরপাড়ের জ্যাম পর্যন্ত। কান্দিরপাড় থেকে ফৌজদারী বা আদালতের জ্যাম। প্রত্যেকটা জ্যাম স্ট্যান্ডের কারণে। শহরের ভেতর কোন স্ট্যান্ড নাই। টাকার বিনিময়ে এই স্ট্যান্ড গুলো তৈরি করা হয়েছে। কুমিল্লা শহর একশ বছরের পুরনো শহর। এই শহরে যে অবৈধ স্ট্যান্ড আছে এখানে আন্ডারগ্রাউন্ডে কিছু বিষয় আছে এগুলোকে ধ্বংস করলেই বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
কুমিল্লা পূজা মন্ডপের বিষয়ে বলতে গিয়ে হাজী ইয়াছিন বলেন, ঐ দিনের ঘটনা আমাদের জন্য অত্যান্ত লজ্জাকর ছিল। যে ঘটনাটা হয়েছে কুমিল্লাতে এটা অনেক বড় কিছু হয়ে যেতে পারতো এবং এটা প্লান ওয়াইজ করা হয়েছিল। বাংলাদেশে একটা রায়েট তৈরি করার জন্য। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান হাজারো বছরের ইতিহাস এখানে। এখানে হিন্দু মুসলিমদের সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ। এটাকে ধ্বংস করার জন্য সেদিন ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অত্যন্ত দু:খজন, দুভার্গ্যজনক, লজ্জাকর ব্যাপার হলো এটা কুমিল্লাতে ঘটেছিল। এটা কারা করেছিল তা খুজে বের করা হয়নি। খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।