শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, এ বছর এএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কিনা করোনা পরিস্থিতি দেখে বিবেচনা করা হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃক্ষরোপণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এখনও চেষ্টা হচ্ছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী পরীক্ষা না নিতে পারলে বিকল্প কী মূল্যায়ন হতে পারে, সেসব নিয়েও কাজ চলছে।
তিনি জানান, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করে যাবেন। এ জন্য আরও কিছুদিন দেখতে হবে। যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে বিকল্প অনেক কিছু চিন্তা করার আছে। করোনা পরিস্থিতি কী কী হতে পারে, তা চিন্তা করা হচ্ছে। আসলে এখানে কারও হাত নেই।
দীপু মনি বলন, সব রকম পরিস্থিতি চিন্তা করেই কী কী সম্ভাব্য বিকল্প থাকতে পারে, তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন সেগুলো চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
‘তবে এখনও চেষ্টা চলছে যদি পরীক্ষা নেওয়া যায়। নেওয়া গেলে নেওয়া হবে। আর যদি পরীক্ষা না নেওয়া যায়, তাহলে বিকল্প মূল্যায়ন কী হতে পারে, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।’
এর আগে গতকাল রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।
কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান।
ছুটির সময় কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।
চলতি বছরে কয়েক দফায় স্কুল ও কলেজ খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলেও মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ ১৩ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছে সরকার।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪