দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আরও ১ হাজার ২৩৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৬ হাজার ১০২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭ হাজার ৩৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৪৫ জন।
অ্যান্টিজেনভিত্তিক পরীক্ষাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ২২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
করোনার সূচনা :
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনায় শনাক্ত হওয়া প্রথম ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল।
মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক নতুন রোগী করোনায় শনাক্তের গড় দুই হাজার ছাড়ায়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে নতুন রোগী শনাক্ত দুই হাজারের কম।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪