বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্ববাসীর জন্য চলতি বছরটিও কঠিন হবে। টিকাদান শুরু হলেও বছরের প্রথম ছয় মাস হবে বেদনাদায়ক। তাই লোকজনকে আরও ধৈর্য ধরতে হবে এবং মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও লোকসমাগম এড়িয়ে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনাভাইরাস মোকাবিলা বিষয়ক কারিগরি প্রধান মারিয়া ভন কারখোভ। তিনি বলেছেন, নতুন বছরের প্রথমার্ধ কঠিন হবে। কারণ অনেক দেশের লোকজনই ছুটির দিনগুলোতে ঘরে থাকার পরামর্শ মেনে চলেনি। মারিয়া বলেন, ২০২১ সালের শুরুটাই ঝঞ্ঝাময় হয়েছে। বড়দিন ও নববর্ষে লোকজনের চলাচল ঠেকানো যায়নি। ফলে প্রথম তিন মাসে সংক্রমণ, হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যু বাড়বে। শুধু টিকায় সমস্যার সমাধান হবে না।
তিনি বলেন, টিকা সরবরাহ খুব শ্নথ গতিতে হচ্ছে। এটা হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে আগামী গ্রীষ্ফ্ম কিংবা শরতের আগে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে না। মারিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু দেশে সংক্রমণ বেড়ে চললেও নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশ ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেয়েছে। তারা করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করেছে কোনো টিকা ছাড়াই। সেখানে জীবনযাত্রা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, সেসব দেশই করোনার বিরুদ্ধে সফলতা পেয়েছে যারা পরীক্ষা, আইসোলেশন, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, কোয়ারেন্টাইন ও লোকজনকে বাড়িতে থেকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হয়েছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪