চলতি বছরের মধ্যে রংপুরে সোমবার ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রংপুরে অসহ্য তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে ঝড়োবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। করোনাকালীন সময়ে এমন গরমে বাসার বাইরে শিশুদের অযথা না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু চিকিৎসকবৃন্দ।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, অনেকটাই অস্থির জনজীবন। রোদের তাপে সকলেই একটু ছায়ার জন্য পাগল। অনেকে মসজিদে নামাজ শেষে মেঝেতেই শুয়ে পড়ছেন ক্লানি কাটানোর জন্য।
ডাব বিক্রেতা মো. নুর ইসলাম জানান, প্রকৃতির আজ রুদ্ররূপ।
খুব গরম পড়ছে চলাফেরা ও কাজকর্ম করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ছায়ায় দাঁড়িয়েও শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে। সড়কের পাশে অটোরিকশা চালক আব্দুল জলিল বলেন, নিচ থেকে আসছে সড়কের তাপ আর উপর থেকে আসছে সূর্যের তাপ। দুইয়ে মিলে জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এমন গরম হলে সড়কে টেকাই মুশকিল। এদিকে গরমের প্রভাবে বিক্রি বেশি হচ্ছে কোল্ড ড্রিংকস, জুস ও স্যালাইনের। এছাড়াও তরমুজ, বাঙ্গি ও ডাবের চাহিদাও বিক্রি হচ্ছে।
রংপুরে চলতি বছরে গড় তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৫ ডিগ্রীর মধ্যেই উঠানামা করছিল। বৃষ্টিপাত বছরে স্বাভাবিক হলেও সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া রুদ্রমুর্তি ধারণ করে।
দেখা দেয় তাপদাহের। এ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রংপুরে ৩৭ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গরমের প্রভাব বেড়েছে। সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপে আবহাওয়ার তারতম্য হচ্ছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪