চীনে অবস্থানরত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, ভাইরাসের জীনগত উপাদান অনুসরণ করতে বাদুড়ের গুহায় অনুসন্ধান করা দরকার।
বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য এবং প্রাণিবিজ্ঞানী ও প্রাণি রোগ বিশেষজ্ঞ পিটার ড্যাসজ্যাক জানান, ভাইরাসটি কীভাবে মহামারি ছড়িয়েছে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দল নতুন তথ্য সংগ্রহ করছে। এ সময় গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি বলে জানান তিনি। তবে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
২০০২ থেকে ২০০৩ সালে চীনের উনান প্রদেশের একটি গুহায় বাদুরের আবাসস্থলে সার্স ভাইরাসের উৎস সন্ধানের গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন ড্যাসজ্যাক। তিনি বলেন, আমরা যদি সত্যিকার প্রাণিজাত উৎস বের করতে চাই হলে একইরকম গবেষণা চালাতে হবে।
বাদুড়ের গুহাগুলো চীন বর্তমানে নমুনায়ন করছে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ উনানে এর আগে করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিল আছে এমন ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।
২০১৯ সালে উহানে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হওয়ার অনেক আগে থেকেই এটি ছড়াচ্ছিল কিনা সেই সম্ভাবনা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে বিশেষজ্ঞ দল।
ড্যাসজ্যাক বলেন, এটি হল এমন কিছু যা আমাদের দল খুব নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করছে। প্রথম দিকে কী ধরণের কমিউনিটি সংক্রমণ হতে পারে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাণির আবাসস্থল থেকে ভাইরাসটি প্রথম কীভাবে সংক্রমিত হয়েছিল সেটি খুঁজে বের করাই আমাদের প্রধান কাজ।
তবে এটি খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া। হয়তো কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর আগেই এটা ঘটেছিল।
ড্যাসজ্যাক বলেন, বিশেষজ্ঞরা যেসব জায়গা পরিদর্শন করতে বা যেসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অনুরোধ করেছেন তার কোনোটি চীনা কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দেয়নি। বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যেই উহানের হাসপাতাল, গবেষণাগার ও সামুদ্রিক খাদ্যের বাজার পরিদর্শন করেছেন। তবে পরিদর্শনের আয়োজনকারী চীনা কর্তৃপক্ষ উহানে বিশেষজ্ঞদের যোগাযোগের পরিসর সীমিত রেখেছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪