ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে প্রাইভেট কার উল্টে নিহত– একজন, আহত– সাতজন।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,
ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় প্রাইভেট কার উল্টে এক যুবক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ওই যুবকের সাতজন আত্মীয় আহত হন। শুক্রবার, বিশে সেপ্টেম্বর বিকেলে, তারা ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি সীমান্তের মন্ডুমালা গ্রামে এশিয়ার সবচেয়ে বড়, আড়াই বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় দুইশো বছরের পুরোনো গাছটি দেখতে যাচ্ছিলেন। রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারের গরুহাটির কাছাকাছি এসে প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মধ্যে উল্টে যায়।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত যুবক হলেন, দিনাজপুর সদর থানার ডায়াবেটিস মোড় এলাকার সৈয়দ আফরোজ ইসলামের ছেলে, রাসেল ইসলাম, বয়স পঁচিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে, রাণীশংকৈল থেকে নেকমরদ এলাকার গরুহাটির সামনে আসলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। তখন, গাড়িটি মহাসড়কে উল্টে কয়েকবার পাল্টি খায়। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান এবং গুরুতর আহত হন গাড়িতে থাকা সাতজন যাত্রী।
আহতরা হলেন:
রাণীশংকৈল উপজেলার সন্ধ্যারই এলাকার মোশারফের ছেলে তনময়, বয়স আঠারো,
মধ্য ভান্ডার এলাকার আসমত আলীর স্ত্রী আসকা খাতুন, বয়স বত্রিশ,
বটগাঁও এলাকার রফিকুলের মেয়ে রুপসা, বয়স পনেরো,
হিলিপোর্ট এলাকার শিমুলের স্ত্রী আসমা, বয়স কুড়ি,
হরিপুর মেদনিসাগর এলাকার রেজোয়ানুল হকের মেয়ে রাদিয়া,
দিনাজপুর সদর এলাকার মহিবুল আলীর ছেলে রাজিউল, বয়স সতেরো,
ও রাজশাহী সদর কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে জুনায়েদ, বয়স আঠারো, যিনি ওই গাড়ির চালক ছিলেন।
দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে জানান, এসআই সহিদুল ইসলাম।
রাণীশংকৈল থানার ওসি জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, শুক্রবার বিকেলে তাঁরা প্রাইভেট কারে করে বালিয়াডাঙী দিকে আমগাছ দেখতে যাচ্ছিলেন। নেকমরদ এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা করা হবে।