**দপ্তিয়র বিদ্যালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবী**
**শরিফুল ইসলাম (লিমন)**
নাগরপুর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র নজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দপ্তরি নিয়োগ, পুকুর ইজারা বাণিজ্য, শিক্ষক-কর্মচারীদের লাঞ্চিত করা, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক সদস্য এবং শিক্ষক প্রতিনিধিরা। রবিবার, উনত্রিশে সেপ্টেম্বর সকালে অভিভাবক সদস্য মো. বাবুল হোসেন এবং শিক্ষক প্রতিনিধি কে এম জাহাঙ্গীর আলম ও স্বর্ণলতা সরকার যৌথ স্বাক্ষরিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেন এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটিতে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সদস্য বানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার মামাতো ভাইকে দপ্তরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, পুকুর ইজারা বাণিজ্যে টাকা আত্মসাৎ করেছেন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের জন্য ল্যাপটপ কেনায় দুর্নীতি করেছেন এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে নিজের ছেলেকে চাকরি দিয়েছেন। এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা যায়।
প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, “আমার পেছনে শত্রুরা লেগে আছে। কিছু বহিরাগত ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের দিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে একদল কুচক্রী মহল ভয় দেখিয়ে এই আন্দোলন করাচ্ছে।”
বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, “প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার নামে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে। এখানে কোনো বহিরাগত বা উস্কানিদাতা নেই, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পূর্ণ যৌক্তিক।”
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাহিদ আহম্মেদ জানান, “প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কাজ চলমান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন এবং তিনি এটি দেখছেন।”