যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন প্রজাতি নিয়ে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ করেছে ডাব্লিউএইচও ( WHO) । ২০ ডিসেম্বর, রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও যুক্তরাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এই নতুন প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। প্রাথমিক তথ্য ও দক্ষিণ-পূর্বে দ্রুত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার জানাচ্ছে এই নতুন প্রজাতি আরো বেশি ক্ষতিকারক।
আরও জানানো হয়ছে, বিষয়টি ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছে ব্রিটেন। যদিও আমাদের কাছে এখনো এমন কোনো তথ্য নেই যাতে আমরা বলতে পারি এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণে মৃত্যুর হারও বেশি হচ্ছে। এর ফলে চিকিৎসা পরিষেবার উপর প্রভাব পড়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানান, ইংল্যান্ডের দক্ষিণে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই নতুন প্রজাতি থেকে ফের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং তার গতি আগের থেকেও বেশি।
এদিকে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াতে এই নতুন প্রজাতির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এই প্রজাতি করোনা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে ভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় দেখায়- এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও জানায়, যুক্তরাজ্য করোনা রুপান্তরের তথ্য তাদের সঙ্গে বিনিময় করছে। সংস্থার পক্ষ থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই বিষয়ে অবহিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে।