যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। দেশটির কংগ্রেস ভবন বা পার্লামেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে। গত নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তখন ভবনটিতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলাকারীরা ভবনের জানালা ভাঙচুর করে। আর সেই সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ উগ্র জনতাকে হটাতে পুরো ভবন অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ সময় গুলিতে একজন নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্যাপিটল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বটে, তবে সেই সঙ্গে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
এ ঘটনার পর যৌথ অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। তবে রাতে আবার তা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে জর্জিয়ার দুটি সিনেটের আসন জিতে যায় ডেমোক্র্যাটরা। এর ফলে সিনেট ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে চলে এল। ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই প্রার্থী রাফায়েল ওয়ারনক ও জন ওসফ সিনেটে নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্যাপিটলে এ হামলার পর বিশ্বনেতারা একের পর এক বার্তায় এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। খোদ রিপাবলিকান পার্টির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর বেন স্যাসি বলেছেন, ‘এটা একটা কুৎসিত দিন।’ এমনকি জর্জিয়ার সিনেটে সদ্য হেরে যাওয়া কেলি লফলার এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪