কিন্তু ছুটি কাটিয়ে কাতালানে ফেরার পরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। লা লিগার বেতনসীমার প্যাঁচে পড়ে বার্সেলোনা ছাড়তেই হলো মেসিকে।
নেইমারদের সঙ্গে এখন পিএসজির জার্সিতে অনুশীলনে ব্যস্ত বার্সার সাবেক অধিনায়ক।
প্রশ্ন উঠেছে— অনেক ক্লাবই নিতে চেয়েছিল মেসিকে। আর সব ক্লাব রেখে কেন পিএসজিকে বেছে নিলেন মেসি?
বুধবার প্যারিসে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে ভক্তদের সেই কৌতূহল মিটিয়েছেন মেসি।
মেসি জানিয়েছেন, পিএসজি কোচের সঙ্গে বেশ ভালো বোঝাপড়া হয়েছে তার। দলটিতে রয়েছে তার বন্ধু নেইমার ও সতীর্থ ডি মারিয়া ও পারেদেস। সেই টানটাও অনুভব করেছে। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের বড় চ্যালেঞ্জটিও মেসিকে পিএসজির দিকে টেনে এনেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেছেন, ‘পিএসজি কোচ পচেত্তিনোর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এখানে আর্জেন্টিনার অনেকে রয়েছে। কোচের সঙ্গেও আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। অনেক দিন ধরে তাকে চিনি। আবারও বলছি, তাদের সবার কারণেই এই ক্লাবকে বেছে নিয়েছি।’
মেসি আরও বলেন, ‘আমার ও পিএসজির একই লক্ষ্য— সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। পিএসজি দুর্দান্ত একটি দল। লিগ ওয়ানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে দলটি। দলটির কারণেই এ লিগ অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।’
মেসি আরও বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল পিএসজি। কিন্তু এই টুর্নামেন্ট জেতার জন্য ভাগ্যেরও দরকার হয়। অনেক সময় সেরা ক্লাবও জিততে পারে না। আমি পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য এসেছি। বার্সেলোনায় সব কিছুই পেয়েছি। এখানে এসে আবার নতুন করে সব পেতে চাই।’
তবে সব কিছুর চাইতে বন্ধুত্বের টানকেই বড় করে দেখলেন মেসি।
তিনি বলেন, ‘পিএসজির ড্রেসিংরুমে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। যাদের পাশে আমি খেলতে চেয়েছিলাম, এখানে এসে তাদের পাচ্ছি। নেইমার রয়েছে, সঙ্গে ডি মারিয়া, পারেদেসরাও আছে। এই ক্লাব বেছে নেওয়ার পেছনে ওরাই আসল কারণ।’
এমন সব বন্ধুর সঙ্গে খেলতে মুখিয়ে আছেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘যা হলো তা অদ্ভুত। দ্রুত সব হয়ে গেল। এখন আমার সামনে নতুন জীবন। এখানে আসতে পেরে খুশি। অনেক আবেগ, অনেক অনুভূতি এই কদিনে হয়েছে। ভাবতেই পারছি না এমবাপ্পের সঙ্গে খেলব। একসঙ্গে অনুশীলন করব। জানি না কবে অভিষেক হবে আমার। আমি এক মাস খেলিনি। এখন আমাকে একা একা প্রস্তুতি সারতে হবে। আমি খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪