আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সীমিত আকারে লকডাউন চলবে। আর ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন। শনিবার (২৬ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার।
শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু কমাতে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে জরুরি পরিষেবা বাদে সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত বন্ধ থাকবে।
কঠোর এ লকডাউনে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান এবং ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সব ধরনের শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। শিশু খাদ্যসহ জরুরি পণ্য সরবরাহের যানবাহন চালু থাকবে।
এর আগে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে।
লকাডাউনে জরুরি পরিষেবা ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল খোলা থাকার পাশাপাশি গণমাধ্যম খোলা থাকবে। গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে যেতে পারবে। এ লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা আমাদের আছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাতে বের হতে না হয় সেজন্য শ্রমজীবী মানুষদের সহযোগিতা করা হবে।
আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে যাতে স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪