সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাএমওয়া যায় ডিএনএ টেস্টের মধ্যমে।
আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র আসামিদের ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিলো প্রায় দুই মাস। তরপরেই ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট পুলিশের হাতে আসে।
যে চারজনের ডিএনএ প্রমাণ পাওয়া গেছে তারা হলেন, সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ আসামিদের ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। গতকাল রোববার তিনি বলেন, আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছিল মামলার তদন্তের মূল অগ্রগতি। অভিযোগপত্র দাখিলে ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষায় ছিল। তারপর ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন হাতে এসেছে। বর্তমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি কাজটি চলছে।
করোনার কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। আবার ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন। এই ঘটনার পরইর দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। এর পরেই সরকার ধর্ষণবিরোধী আইন হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে।
মামলা দায়েরের পর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুল। তাদের সাথে আরও দুুুই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশযাদের নাম হলে, রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর আটজন আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তাঁরা। প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, শাহ মাহবুবুর ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেন।
ধর্ষণের রাতেই এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে প্রধান আসামি সাইফুর রহমানের দখলে থাকা কক্ষে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেরও মামলা করে।
এদিকে ধর্ষণের পর পুলিশ উদ্ধার করে তরুণীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল । তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। শারীরিক ক্ষত সারলেও তিনি মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ওই তরুণীর স্বামী।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪