মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
স্টাফ রিপোর্টার ( দিনাজপুর)
আন্তর্জাতিক সিডও দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টায় জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি ড. মারুফা বেগম-এর সভাপতিত্বে সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবি আফরোজ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে কয়েকটি ধারা সংরক্ষণ রেখে সিডও সনদে স্বাক্ষর করে, তখন থেকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ বিষয়ে কাজ করছে। সিডও সনদ নারীর মৌলিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ, সেখানে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাহাবুবা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা পলি, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক খাদিজা নাহিদ ইভা, অর্থ সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, প্রশিক্ষন গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রুকসানা বিলকিস, সদস্য সাবিয়া খাতুন, মিনতি এক্কা, লিপা লাকড়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সিডও সনদের মুল কথা হলো নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বিলোপ করার পদক্ষেপ গ্রহণ। তাছাড়া উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারী যুগ যুগ ধরে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে তা যথাযথ স্বীকৃতি পাওয়া। বলা যায় মানুষের এই সনদের মূল উদ্দেশ্য। মানবাধিকার সংরক্ষণের কথা বলি বা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথাই বলি না কেন সব দিক দিয়েই সিডও সনদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী। কারণ বিশ্বব্যাপী নারীর অবস্থান এখনো প্রান্তিক পর্যায়ে এবং আমাদের সমাজের নারীরা প্রতিটি মুহুর্ত অতিক্রম করছে এক দূর্বিসহ অবস্থায়। সিডও সনদে পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে নারীর ক্ষমতায়ন। তাই নারীর মানবাধিকার আন্দোলনে শক্তিশালী হাতিয়ার সিডও সনদের ধারা ২ এবং ১৬-১ (গ) থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছে।