বিএনপি হলো ভালো মানুষের দল: খোরশেদ আলম
মোঃ শান্ত খান ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে, যারা মানুষের শান্তি নষ্ট করবে, তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আগামীর দেশনায়ক তারেক রহমান ইতোমধ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দিয়ে বলেছেন, বিএনপি হলো ভালো মানুষের দল। এই দলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই। বিএনপি করতে হলে মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখতে হবে। মানুষ যাকে ভালোবাসবে না, তার স্থান বিএনপিতে হবে না।
তাই সাবধান হয়ে যান। যারা অপকর্ম করেন বা করার চেষ্টা করছেন, সেই পথ থেকে ফিরে এসে মানুষের জন্য কাজ করুন। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে পারলে তবেই আপনি বিএনপি নেতা হবেন। অন্যথায়, আপনি এই দলের কেউ নন।
আজ দুপুরে, তার নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এই কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসকের অন্যতম দোসর মনজুরুল আলম রাজীব হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। ষোল বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ছত্রছায়ায় সে সাভার ও আশুলিয়ার মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল।
বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুলিশ দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র জনতার বুকের রক্ত ঝরিয়েছে। তারপরও, স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি। ঐতিহাসিক পাঁচ আগস্ট সে পালিয়ে গেলো। তার সঙ্গে, তার দোসররাও পালিয়ে গেল, আত্মগোপনে চলে গেল।
তিনি বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এই আন্দোলন সংগ্রামের ফসল উঠেছে। স্বৈরশাসকের দোসররা এই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা রকম অপকৌশল চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতে পাঁচ আগস্টের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।
বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম বলেন, দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে লাগামহীন। ব্যাংকগুলোকে তারা সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দিয়েছে। লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। দেশের সমগ্র প্রশাসনিক কাঠামো তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে এখানেও স্বৈরশাসকের দোসররা ছিল। তারা ব্যাপক লুটপাট ও সন্ত্রাস চালিয়েছে। এখানে আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে দেয়া হবে না। ন্যায়ের স্বার্থে, এলাকার ভালো মানুষদের একত্রিত করে বিচার কমিটি করে দিতে হবে।
নিজের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ভালো মানুষকে জায়গা না দিলে দেশ কখনই ভালো হবে না। আপনারা যারা আমার কর্মী ও সমর্থক আছেন, যদি কেউ সমাজের ভালো মানুষকে হেয় করেন, অসম্মান করেন, তাহলে সে যত বড় নেতাই হোক না কেন, আমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজি কেউ করলে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিন। সে যত বড় নেতাই হোক, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।