চীনের দক্ষিণে একটি পর্যটন দ্বীপে আছড়ে পড়েছে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘ইয়াগি’। এর ফলে সেখানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং বাতাস হচ্ছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হাইনান দ্বীপের উত্তর-পূর্বে ২২৩ কিলোমিটার গতিতে সুপার টাইফুন ইয়াগি আছড়ে পড়েছে। যা ২০১৪ সাল আঘাত হানা টাইফুন ‘রাম্মাসুনের’ চেয়ে অনেক শক্তিশালী। যে সময় ওই ঝড়ের আঘাতে দ্বীপটিতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
চীনের আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শরতে আঘাত হানা শক্তিশালী টাইফুনের ফলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে। ইয়াগির হাত থেকে বাঁচাতে ওই দ্বীপ থেকে ৪ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নৌযান, ট্রেন এবং বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুলও। গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে টাইফুন ইয়াগি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর শক্তি আরও দ্বিগুণ হয়েছে। এরপরই এটি চীনে আড়ছে পড়েছে। চলতি বছর এটি দ্বিতীয় শক্তিশালী টাইফুন।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ইয়াগির ফলে হাইনানে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া আক্রান্ত হবে পার্শ্ববর্তী গুয়াংডংও। এই এলাকাটি চীনের অন্যতম জনবহুল অঞ্চল।
ইন্দো-প্যাসিফিক ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সতর্ক কেন্দ্রের উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার বলেন, সুপাই টাইফুন ইয়াগি ভয়াবহ আকারের একটি ঘূর্ণিঝড়। এর আঘাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধস হতে পারে। একটি সুপার টাইফুন শক্তির দিক দিয়ে ৫ ক্যাটাগরির হ্যারিকেনের সমতুল্য।
স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতের ফলে হাইনান দ্বীপে পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ৮ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ হাজার উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন। ইতোমধ্যে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত দুই লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।