রোহিঙ্গা যুবক জাকির হোসেন (২২) পেটে ব্যথা অনুভব করায় চকরিয়ার মালুমঘাম মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে বের করা হয় ৩৯টি পোটলা বা ১৯৫০পিস ইয়াবা।
এই প্রথম কোনো ইয়াবা পাচারকারীর পেটে সিজার করে বের করা হলো ইয়াবা ট্যাবলেট। জাকির কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ এবং এক নম্বর ব্লকের শরণার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে।
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘ক্যাম্পে কর্মরত এমএসএফ নামক একটি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) চকরিয়ার মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে জাকিরকে নিয়ে যান। পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে প্রথমে আলট্রাসনোগ্রাফসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ফলাফলে পেটের ভেতর কোনো বস্তু থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলে সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।’
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘এই প্রথম কোনো মানুষের পেট সিজারিয়ান অপারেশন করে ইয়াবার পোটলা বের করা হলো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাই রীতিমতো অবাক হয়ে যান। যদিও-বা আগে পায়ুপথ দিয়ে ইয়াবা বের করার ঘটনা রয়েছে অহরহ।’
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ইয়াবাগুলো কর্তব্যরত ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয় এবং রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে।’
তিনি আরও জানান, ‘পুলিশ প্রহরায় ইয়াবা পাচারকারী রোহিঙ্গা নাগরিকের চিকিৎসা চলছে এবং পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪