ফরিদপুরে সোনালী ব্যাংক থেকে এক গ্রাহকের চুরি হওয়া ২০ লাখ টাকার মধ্যে ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
গ্রেপ্তার হওয়া সেই ২ জন হলেন খুলনার হরিণঘাটা উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের মো. ফারুক শেখ (৬০) ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪৫)।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর সদরের বিলমামুদপুর এলাকার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তার বাবার সঞ্চিত ২০ লাখ টাকা ফরিদপুর ডাকঘর থেকে তোলেন। পরে পাশের সোনালী ব্যাংক কোর্ট বিল্ডিং শাখায় সঞ্চয়পত্রে জমা রাখতে যান। তিনি ম্যানেজারের কক্ষে সোফা সেটের ওপর টাকার ব্যাগটি রাখেন। ম্যানেজার টাকা জমা দেওয়া নিয়ে কথা বলার এক ফাঁকে ২০ লাখ টাকার ব্যাগটি চুরি করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। ১ মিনিটের মধ্যে তারা চুরি সম্পন্ন করে বলে জানয় ম্যানেজার ।
এ ঘটনায় পরদিন নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, সংশ্লিষ্ট এলাকার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে এবং আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ৩ জন আসামিকে শনাক্ত করা হয়। ১৫ মার্চ ভোর ৫টার দিকে খুলনার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ফারুক শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফারুকের কাছ থেকে চুরি করা নগদ ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে ফারুকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই দিন বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মোহাম্মদ আলীর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে তার কাছ থেকে চুরি করা নগদ ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে ওই দুই আসামির দেওয়া তথ্যে তৃতীয় আসামিকে ধরতে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার উত্তর চাঁদসিরা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তবে বিষয়টি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। তার বাসা থেকে চুরি যাওয়া আরো পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আসামিরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত। তারা ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চুরি করে থাকে। মূলত আসামিরা পোস্ট অফিস ও ব্যাংকে বয়স্ক গ্রাহককে টার্গেট করে। আসামিদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধে গাইবান্ধা জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় মোট চারজন জড়িত ছিল। সকলকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং অপর দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশ।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪