আধিপত্য বিস্তারের জেরে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজলের উপর হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সজলের সাথে থাকা ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় মোট ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে জখম ৫ জনকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষের একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে পিরোজপুর শহরের বলেশ্বর ব্রিজের কাছে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল জানান, কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে সন্ধ্যার পর তারা বলেশ্বর ব্রিজের ওপারে চা পানের জন্য গিয়েছেলেন। চা পান শেষে রাত পৌনে আটটার দিকে পিরোজপুর শহরে ফেরার পথে বলেশ্বর ব্রিজের ঢালে স্থানীয় মিজান তার লোকজন নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় মিজানের সাথে ধারালো অস্ত্রসহ ৩০-৪০ জন হামলাকারী ছিল। হামলায় তার সাথে থাকা ৯ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ইব্রাহিম খান তামিম, রাকিবুল হাসান, ইসা শেখ, লিওন আল জাবির এবং আহমেদ কাফিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এ ৫ জন পিরোজপুর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মিজান শেখ জানায়, সন্ধ্যার পরে বলেশ্বর ব্রিজ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও তার বাড়িতে সজলের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
আহতরা আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাবে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার রহিতোষ দাস।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোঃ হোসেন জানান, হামলার বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বলেও জানান তিনি।