মোবাইল গেমস ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলাকে কেন্দ্র করে বন্ধুর সঙ্গে মারামারির একপর্যায়ে নিহত হয় চট্টগ্রামে ইপিজেডে শিশু আব্দুল্লাহ।
ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার মূল আসামি হাসান জানায়, একই মোবাইল দিয়ে গেমস খেলার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির পর একে অপরকে ঘুষি মারলে হাসানের ঘুষি গিয়ে আঘাত করে আব্দুল্লাহর শ্বাসনালীতে। এতে অজ্ঞান হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে সে। পরে ঘটনা অন্যদিকে প্রভাবিত করতে মুক্তিপণ চাওয়ার নাটক সাজানো হয় বলেও স্বীকার করে পুলিশের কাছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর মনসুরাবাদে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপ-কমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) আলী হোসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে খুনের সঙ্গে জড়িত ওই কিশোর ও তার মা হাফিজা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ওই কিশোর জানিয়েছে নিহত আবদুল্লাহ ও সে একসঙ্গে বন্দরটিলার হাবীবীয়া তাজবিদুল মাদরাসায় পড়েছে। তখন থেকেই তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। পরে আবদুল্লাহ গ্রামের বাড়ি বরিশালে চলে যায়। পরীক্ষা শেষে সে বাবা-মায়ের কাছে বেড়াতে এসেছিল। তখন তাদের সঙ্গে আবার দেখা হয়।
এরপর আবদুল্লাহকে নিয়ে ওই কিশোর তার বাসায় আসে। তখন বাসায় কেউ ছিল না। ওই কিশোরের মা পোশাক কারখানায় চাকরিতে গিয়েছিল। একসঙ্গে খাবার খায় দুইজনই। মায়ের রেখে যাওয়া মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেইম খেলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেটা মারামারিতে রূপ নেয়।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, গ্রেফতার ওই কিশোরের মা সন্ধ্যায় বাসায় এসে ছেলেকে বাঁচাতে লাশ বস্তাবন্দি করে গুম করার পরিকল্পনা করে। পরে সুযোগ বুঝে আবদুল্লাহর বস্তাবন্দি লাশ রাত দুইটার দিকে দুই ভবনের মাঝে ফেলে দেয়। এরপর ওই কিশোরকে আনোয়ারায় তার খালার বাড়িতে রেখে অফিস করতে চলে যায় তার মা। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে প্রথমে তার মা ও পরে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।