চাঁদা না পেয়ে কক্সবাজারে নারী পর্যটককে আটকে রেখে ধর্ষণ করে আশিক ও তার সহযোগীরা। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। বহুদিন ধরেই কক্সবাজারে টুরিস্টদের হেনস্থা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল চক্রটি।
হেনস্তা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি কিংবা জবরদখল, কোনো কিছুই বাদ দেননি কক্সবাজারে স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে ধর্ষণের মূল হোতা আশিকুল ইসলাম ওরফে টর্নেডো আশিক। হয়ে উঠেছিলেন কক্সবাজারের ত্রাস, গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব এক সন্ত্রাসী বাহিনী। মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছে র্যাব।
তারই ধারাবাহিকতায়, গেল ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে আশিক ও সহযোগীরা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাবনী বিচ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সেই নারীকে। নগরীর লাবনী বিচ এলাকায় একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে করা হয় ধর্ষণ। এবার মুক্তিপণ হিসেবে আবারো দাবি করা হয়, পঞ্চাশ হাজার টাকা।
এ ঘটনার পর, মাঠে নামে র্যাব। উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগীকে, আটক করা হয় হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজউদ্দিনকেও। ঘটনার জল ঘোলাটে হয়ে আসায় পালাতে চেষ্টা করে চক্রের প্রধান আশিকুল ইসলাম। পটুয়াখালী যাবার পথে মাদারীপুর মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যমক শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, আশিক ও তার এই সিন্ডিকেট পর্যটন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, জিম্মি, চাঁদাবাজি, জবরদখল, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল।
র্যাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকলেও, ছদ্মবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহন করতেন আশিক। ভিন্ন পরিচয়ে ফাঁদে ফেলেছেন খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও।
তিনি আরও বলেন, তার সরাসরি কোনো দলীয় রাজনীতি বা তার কোনো রাজনীতির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা বা কোনো পরিচয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা পাইনি। কিন্তু সে ছদ্দবেশে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ে ছিল। পুলিশের একজন সদস্যকেও সে বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইল করেছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪