কক্সবাজারে হোটেলে দুইদিন ধরে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর মামলা করলে পুনরায় ধর্ষণ করে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত মোহাম্মদ আশিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে এ কথা জানিয়েছেন আসামি। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার।
খায়রুল ইসলাম সরকার আরও জানান, হোটেলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের সংবাদ সংবাদমাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর র্যাবের একটি দল মঙ্গলবার ভোররাতে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা এলাকায় এ অভিযান চালান হয়। এ সময় ধর্ষণে অভিযুক্ত কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আশিককে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে ফেরার সময় মো. আশিকসহ ৩/৪ জন যুবক জোর করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে (ভুক্তভোগী ছাত্রী) শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত মমস্ গেস্ট হাউজ নামের নিয়ে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে হোটেলটিতে দুইদিন জিম্মি রেখে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা চারজনসহ নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা দায়ের পর কোন আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ার পাশাপাশি আসামিরা বাদীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়।
লে. কর্নেল খাইরুল বলেন, কক্সবাজার শহরে স্কুল ছাত্রীকে আবাসিক হোটেলে জিম্মি রেখে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত ছিল। সোমবার রাতে মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারায় আত্মগোপন করে অবস্থান করছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মো. আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪