
An arrest warrant has been issued against Russell and his wife
দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি । ঢাকার ধামরাইয়ের এক গ্রাহকের করা চেক ডিজওনারের মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলসহ আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১৬ মে) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামান এ আদেশ দেন ।
মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন রাসেলের স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এডমিন মো. হাসান।
ভুক্তভোগী গ্রাহক আহাদ বলেন, আমি ঋণ নিয়ে ইভ্যালি থেকে ৫টি মোটরসাইকেল কিনেছিলাম ১৪ লাখ টাকা দিয়ে। সেই মোটরসাইকেলের মূল্য ১৪ লাখ টাকা পরিশোধের ৪৫ দিনের মধ্যে আমাকে পাঁচটি মোটরসাইকেল দেয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। পরে মোটরসাইকেল নেই বলে পাঁচটি মোটরসাইকেল মূল্যের ২৫ লাখ টাকার চেক দেয় ইভ্যালি। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল এর স্বাক্ষরিত ১৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকার দুটি চেক পাই। চেক দুটি নগদায়নের জন্য ধামরাই উপজেলার কালামপুর শাখার ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিঃ এ উপস্থাপন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট ক্লোজ/ব্লক উল্লেখ করে চেক দুটি ডিজঅনার স্লিপসহ ফেরত দেন।
পরে এ ঘটনায় ৩০ দিনের মধ্যে নগদ টাকা চেয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এডমিন মো. হাসানের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এতে কোনো উত্তর না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি। এ মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ বিষয়ে জজকোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওয়ারেজ বলেন, আসামিদের টাকা পরিশোধ করার জন্য লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু ওই নোটিশের কোনো উত্তর তারা দেননি এবং টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপও নেননি। পরে মামলা হলে আদালত বিচার বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪