
বিশ্বকাপ জয়ের পর শাস্তির মুখে আর্জেন্টিনা
ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও এই টুর্নামেন্টটির ফাইনাল ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা যেন থামছেই না।
আর্জেন্টিনা দল আক্রমণাত্মক আচরণ ও ফেয়ার প্লের নীতিমালা লঙ্ঘন এবং খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের বাজে আচরণ–সম্পর্কিত বিধিমালা ভেঙেছে বলে মনে করছে ফিফা। এজন্য শৃঙ্খলা বিধির ১১ ও ১২তম ধারা ধরে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
ড্রেসিংরুমে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে ট্রল করেছিলেন ফাইনালের নায়ক মার্টিনেজ। গানে গানে উৎসবে মেতে থাকা দলকে হুট করে থামিয়ে তিনি এমবাপ্পের জন্য এক মিনিটের নিরবতা পালনের কথা বলে ফরাসি তারকাকে খোঁচা দেন। এরপর আর্জেন্টিনায় ছাদখোলা বাসেও এমবাপ্পের ‘পুতুল’ নিয়ে উদ্যাপন করছিলেন আকাশী-সাদাদের এই গোলরক্ষক।
এমবাপ্পেকে নিয়ে মার্টিনেজের এমন আচরণকে বাড়াবাড়ি বলে ফ্রেঞ্চ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। মার্টিনেজ শুধু এমবাপ্পেকে নিয়েই নয়, টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপারের পুরস্কার (গোল্ডেন গ্লাভস) জয়ের পর সেটি হাতে নিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি করেন। যা নিয়ে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

এদিকে, শুধু দলের উদ্যাপন নিয়ে তদন্ত নয়, আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে ফিফা। তাদের বিরুদ্ধে মিডিয়া ও মার্কেটিং নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। ফিফা মনে করে, ফাইনালে ডিসিপ্লিনারি নীতিমালার ৪৪তম ধারা ভেঙেছে এএফএ।
এছাড়া ফিফার শাস্তিমূলক কার্যক্রমের আওতায় আছে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দলও। বিশ্বকাপ চলাকালে ইকুয়েডর, মেক্সিকো ও সার্বিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে ফিফা।