রংপুরের হারাগাছে ঝুঁকিপূর্ণ বিড়িশিল্পের বিষে নিঃশেষ হচ্ছে ২০ হাজারের বেশি শিশুর জীবন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বোকা বানিয়ে কারখানার বদলে বাড়ি বাড়ি উপকরণ সরবরাহ করে তৈরি হচ্ছে বিড়ি। একসময় কয়েকটি কারখানায় কিছু শিশু কাজ করলেও এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িই পরিণত হয়েছে বিড়ি কারখানায়।
একসময় হারাগাছের বড় বড় বিড়ি-তামাকের কারখানায় দিনরাত কাজ করত লাখো শ্রমিক। যার ২০ শতাংশ ছিল শিশু। কিন্তু এসব কারখানায় শিশুশ্রম বন্ধে প্রশাসন কঠোর হওয়ায় কৌশল বদলেছেন মালিকরা। বাড়ি বাড়ি তামাক গুঁড়া, খোলের পেপার সরবরাহ করে বানিয়ে নেয়া হচ্ছে বিড়ি।
রংপুর সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় জানান, তামাকের ক্ষতিতে আক্রান্ত বিড়ি শ্রমিক ছাড়া শিশুরাও হাসপাতালে আসছে। পর্যবেক্ষকরা জানান, বাড়িতে বিড়ি তৈরির কারণে এখন পরিবারের সবাই আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে।
রংপুর সুজনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফকরুল আনাম বলেন, আগে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বিড়ি তৈরি কার্যক্রমটা ছিল। কিন্তু এটা এখন ঘরের ভেতর ঢুকে গেল। পরিবেশ ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মুনীর চৌধুরী বলেন, বিড়িশিল্পে শিশুদের বেআইনি ব্যবহার বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ দরকার।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান আশ্বাস দেন, শিশুদের রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার। আমরা স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মোটিভেশনাল সভা করব। যাতে কোনো শিশু এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত না হয়।
একসময় বড় বড় ১৪-১৫টি বিড়ি কারখানা থেকে সরকার বিপুল রাজস্ব পেলেও হারাগাছ কেন্দ্র করে এখন গড়ে উঠেছে প্রায় আড়াইশ’ কারখানা। যার বেশির ভাগই নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ায় রাজস্ব আদায় নেমে এসেছে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকায়।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪