সোমবার সোমালিয়ায় মোগাদিশুর জাল্লে সিয়াদ সেনা অ্যাকাডেমিতে এক আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এতে ২০-৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমালিয়ার সরকার জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারী অ্যাকাডেমির ভিতর ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনায় ২০-৩০ জন নিহত হয়েছে ঘটনাস্থলেই। অন্তত ৬০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি আল কায়দার কাজ। ২০০৭ সাল থেকে তারা সোমালিয়ার সরকার উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
সোমালিয়ার সেনা মোহামেদ হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের সময় তিনি পাশের একটি সেনা ছাউনিতে ছিলেন। আওয়াজ শুনে তিনি ছুটে আসেন। ততক্ষণে বিস্ফোরণ ঘটে গেছে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা দেখে তিনি ভীত হয়ে পড়েন। অন্যদিকে নিহতের সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমালিয়ার পার্লামেন্টের সদস্য মোহামেদ ইব্রাহিম মোয়ালিমু এই হামলাকে “ভয়াবহ” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা মারা গেছেন, তারা কেউ সাধারণ লোক নন। সকলেই সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি।
আল শাবাব হল আল-কায়েদার একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যা ২০০৭ সাল থেকে সোমালিয়ার সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে।আল শাবাব সেনা এবং বেসামরিক মানুষের উপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। সোমবারের ঘটনা অবশ্য আগের সব হামলাকে ছাপিয়ে গেছে। আল শাবাবের হামলা সোমালিয়ায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪