
মায়ের রহস্যময় নিখোঁজের পেছনে রয়েছে মেয়ের কারসাজি
খুলনার আলোচিত গৃহবধূ রহিমা বেগমের রহস্যজনক নিখোঁজের পেছনে তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান মূল পরিকল্পনাকারী (মাস্টারমাইন্ড)। এমনটাই দাবি করেছেন এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, মরিয়ম মান্নানসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ও মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি বলেন, রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা ভীষণ উচ্ছৃঙ্খল। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে। তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছে। কয়েক বছর আগে শরিফুল ইসলাম নামে মাত্র ৮/৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দিয়েছিল। মরিয়মের বাবার ৩টি বিয়ে করেছেন। ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া তাদের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। এখন সেই জমিই কাল হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রহিমা বেগমের কাছে ব্যাগ, কাপড়চোপড়, ওষুধ, প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তিনি জন্মনিবন্ধন পরিবর্তনের জন্য ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গিয়েছিলেন। যা কোনোভাবে অপহৃত কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া পুলিশ ও আদালতে দেওয়া বয়ানেও পার্থক্য রয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, রফিকুল আলম পলাশ ও নুরুল আলম জুয়েল এবং প্রতিবেশী হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।