নববর্ষের পর রোজার ঈদ নিয়েও লকডাউনের অনিশ্চয়তায় পড়েছে রংপুরের বেনারসি শিল্প। শোরুম বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা শাড়ি কিনছেন না। এতে কারিগরদের পারিশ্রমিক দিতে না পেরে অনেক কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন মালিকরা।
বছর দেড়েক আগেও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার হাবু গ্রামের তাঁতপল্লীতে ছিল দেড় হাজার কারিগরের কর্মচাঞ্চল্য। ঘরে ঘরে তাতের খুটখাট শব্দে একাকার ছিল দিনরাত। কিন্তু করোনার ছোবলে এখন সেই মুখরতা ম্রিয়মাণ। কয়েকটি ঘরে হাতেগোনা কিছু মানুষ টিকে আছে কোন মতে। তাও আবার করোনার ঝাপটায় নিবুনিবু করছে স্বপ্নের রঙিন আলো।
সরকারের সহায়তা আর নিজেদের চেষ্টায় এ গ্রামেই বেশকিছু শোরুম নিয়ে গড়ে উঠেছে বেনারসি পল্লী। কিন্তু করোনার বাস্তবতায় আগের বছরের মতো এবারও নববর্ষ চলে গেছে, অনিশ্চয়তা ভর করেছে রোজার ঈদেও।
বেনারসি শিল্প রক্ষায় সরকারের সহায়তা চান রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন। নানা সংকটে কমতে কমতে এখন মাত্র শতাধিক পরিবার ৫০টি ছোট ছোট কারখানা ধরে রেখেছে জেলার বেনারসি ঐতিহ্য।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪