এর আগে অস্ট্রিয়ায় স্বেচ্ছায় মৃত্যু নিষিদ্ধ ছিল। তবে এখন পার্লামেন্টে বিপরীধ বিল পাস হলো। তাতে স্বেচ্ছামৃত্যুকে শর্তসাপেক্ষে স্বীকৃতি দেয়া হলো।
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রিয়ার আদালত রায় দিয়েছিলেন, আগের আইন মানবাধিকার বিরোধী।
এই আইন অনুসারে, শর্তসাপেক্ষে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ মানুষ স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে পারবেন।
কী শর্ত পালন করতে হবে?
আইনের নাম হলো অ্যাসিসটেড সুইসাইড অ্যাক্ট। এখানে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সিরাই স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন।
তবে তারা হয় মৃত্যুপথযাত্রী হবেন অথবা এমন অসুখে পড়ে ভয়ঙ্কর দুর্বল হয়ে পড়েছেন, যা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রতিটি ক্ষেত্রে দুইজন চিকিৎসক আবেদন বিচার করে দেখবেন। রোগী নিজের ইচ্ছায় স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন কি না, তাও বিচার করে দেখবেন তারা। অন্তত ১২ সপ্তাহ দেখা হবে, অসুস্থ মানুষ সাময়িক সংকটে কাতর হয়ে এই আবেদন করেছে কি না।
তবে অসুস্থতার কারণে, যার অদূর ভবিষ্যতে মৃত্যু হতে পারে, তার ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ দেখা হবে না।
যিনি স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে চান, তাকে আইনজীবীর কাছে বা নোটারির কাছে জানাতে হবে, তিনি ওষুধ খেয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু চান।
কেন এখন আইন করতে হলো?
অস্ট্রিয়ার সাংবিধানিক আদালত জানিয়ে দেয়, স্বেচ্ছামৃত্যু করতে না দেওয়া মানবাধিকার ভঙ্গের সামিল। তাই এই নতুন আইন জরুরি ছিল।
সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, লুক্সেমবুর্গে স্বেচ্ছামৃত্যু স্বীকৃত।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪