ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সীমিত পরিসরে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার হাবিপ্রবির পূজা উদযাপন কমিটি ও সনাতন বিদ্যার্থীদের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে প্রতিমা স্থাপন, অঞ্জলি প্রদান, মহাপ্রসাদ বিতরণ,ধর্মসভা ও আলোচনা সভা ছিল অন্যতম। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল সংলগ্ন খেলার মাঠে পূজারম্ভ হয়। এরপর অঞ্জলি প্রদান ও আলোচনা সভা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা হিন্দু বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম প্রধান হিন্দুধর্মীয় উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার, আইকিউএসি এর পরিচালক ও কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার, প্রভাষক ডা. গুমন সরকার সেতু, সহকারি রেজিস্ট্রার সঞ্জিত গুপ্ত, সহকারি রেজিস্ট্রার জীবন চন্দ্র রায়, সেকশন অফিসার পলাশ রায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীবৃন্দ। এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিপ্রবি’র কোষাধ্যক্ষ্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, সনাতন ধর্মে শিক্ষাকে উঁচুস্তরে আসীন করা হয়েছে। এ ধর্মে প্রাচীন ঋষিরা ব্রহ্মের অনন্ত শক্তির অংশকে বিভিন্ন দেব-দেবীরূপে কল্পনা করেছেন। আর তেমনিভাবে ব্রহ্মের যে শক্তি আমাদের বিদ্যা শিক্ষাদান করেন তাকে সরস্বতী দেবী নামে পূজা-অর্চনা করা হয়। সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বিদ্যা, সংস্কৃতি ও শুদ্ধতার দেবী। তিনি সবাইকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানান।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪