চীনের আইবিএম ক্যামস কভিড টিকার বাংলাদেশে ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআরবিকে অনুমতি দিল বিএমআরসি। এছাড়া আরো দুটো টিকার অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। ওয়ান ফারমা নামের দেশীয় প্রতিষ্ঠান চীনের আইবিএম ক্যামস-এর দেশীয় এজেন্ট।
সূত্রে জানা যায়, এর আগে চীনের সিনোভ্যাক টিকার ট্রায়ালের আবেদন করেও শেষ পর্যন্ত চুক্তিতে দেরি করা এবং পরে দরদামে বনিবনা না হওয়ায় সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। এর পরই চীনের আইবিএম ক্যামসের উদ্ভাবিত টিকা বাংলাদেশে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আবেদন করে আইসিডিডিআরবি। তাদের সঙ্গে প্রায় ৬০ কোটি টাকার চুক্তিও হয়। যার ২৫ শতাংশ টাকা চীনের ওই প্রতিষ্ঠানটি আইসিডিডিআরবিকে পাঠিয়েও দিয়েছে ট্রায়ালের জন্য। সব সেটআপও রেডি। এর আগে একাধারে তিনটি টিকার ট্রায়াল করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েও অনুমোদনজনিত সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সেগুলো ভেস্তে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক নাজমুল ইসলাম কয়েকদিন আগে জানান, শিগগির বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। ইউজিসি থেকে তালিকা আনা হয়েছে। এখন সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। চলতি টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় সিনোভ্যাকের টিকা থেকেই যতটা পারা যায় শিক্ষার্থীদের টিকা শুরু হবে। তিনি বলেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হলে শিক্ষার্থীদের টিকা না দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সংক্রমণ আরো ছড়ানোর ঝুঁকি থাকবে।