কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মৃত্যুর পর তার স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করার পর সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। সেদিন ছুটির দিন হওয়ায় মামুন হোসেনকে বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয় । বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন বলেন, ‘মামুন হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ। তাই তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠিয়েছে। সুতরাং তার জামিন আমরা পাওয়ার হকদার। ’
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করা হবে ।
কোর্ট দারোগা আরিফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু খাইরুন নাহারের মামলাটির তদন্ত চলছে। সে কারণে তাকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছে। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মৃত্যুর পর তার চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন।
নাটোর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামিউল ইসলাম শান্ত জানান, শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। খাইরুন নাহারের মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সিসিটভি ফুটেজ ও পাওয়া গেছে। তা ছাড়া আটক মামুনকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। খাইরুন নাহারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মামুন নামেমাত্র ব্যবসা করতেন। এদিকে খাইরুন নাহার তার বড় ছেলে বৃন্তকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা মামুনের সম্মতিতে দিতে চান। কিন্তু পরে মামুন আর ওই টাকা দেননি। এ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মামুন রাগ করে রাত ২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে আরো তদন্ত চলছে।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪