কথায় আছে, ক্ষুধার জ্বালায় নাকি বাঘও ঘাস খায়। কিন্তু পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইরানে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। তীব্র খাদ্য সংকটের কারণে সেখানে মানুষকে শিকার করছে বন্যপ্রাণী।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ, পানির কাছাকাছি যেই আসছে, তার ওপরই হামলা চালাচ্ছে বিপন্ন প্রজাতির কুমির! বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে ইরানে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। এতে মানুষের পাশাপাশি বিলুপ্ত হতে চলেছে কুমিরের প্রাকৃতিক আবাসস্থল। সেই সঙ্গে দিন দিন চরম হচ্ছে খাবার সংকট।
ক্ষুধার্ত প্রাণীগুলো খাদ্যের জন্য হামলা চালাচ্ছে মানুষসহ ডাঙার অন্যান্য প্রাণীর ওপর। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের তুলনায় বেলুচিস্তানে পানি সংকট প্রবল। সেখানে কয়েক বছর ধরে কুমিরের হামলায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।
কিন্তু অসংখ্য দুর্ঘটনার পরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কোনো সতর্কবার্তামূলক নোটিশ টানানো হয়নি। সরকারের কার্যকর উদ্যোগের অভাবে একদল স্বেচ্ছাসেবী চেষ্টা করছেন কুমিরগুলোর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে, যেন তারা খাবারের অভাবে মানুষের ওপর হামলা না চালায়।
পাশাপাশি নদী তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা কুমিরের জন্য নিজ উদ্যোগে কলা, কমলা ও আমের বাগান করছেন। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ব্যাঙসহ কুমিরের অন্যান্য শিকার এখন আর না থাকায় তারা এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, ইরানের পরিবেশ অধিদপ্তরের দাবি, কুমির ও স্থানীয় পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। দেশটিতে এ ধরনের কুমিরের সংখ্যা প্রায় ৪০০, যা এই প্রাণীর মোট সংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ। ইরান ও ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব কুমিরকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪