
দিনাজপুরের বাঁধাকপি যাচ্ছে মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরে
দিনাজপুর থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাঁধাকপি যাচ্ছে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে। জমি থেকে এটম কুইন জাতের বাঁধাকপি উত্তোলনের পর প্যাকেজিং করে পরিবহনের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রামে। আবার সেখান থেকে সরাসরি চলে যাচ্ছে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কৃষক আল ইমরানের আবাদকৃত বাঁধাকপির চাষ এলাকার চিত্র বদলে দিয়েছে। গত বছরেও মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে বাঁধাকপি রফতানি করা হয়েছে। কীটনাশকমুক্ত বাঁধাকপি রফতানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন সম্ভাবনাময় খাতও তৈরি হয়েছে।
কৃষি বিভাগ মনে করেন, নিরাপদ সবজির বাজার তৈরি করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
নাঈম অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. আল ইমরান বলেন, ‘গত বছর বাঁধাকপি (এটম কুইন) রফতানি শুরু করেছি। প্রতিটি বাঁধাকপি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান আমাদের থেকে কিনছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। আর বিদেশের বাজারে প্রতি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আবাদকৃত বাঁধাকপি ৩ মাসের মধ্যে মাঠ থেকে তুলে সরাসরি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে পাঠানোর জন্য প্যাকেজিং করা হয় ’।
কীটনাশক মুক্ত বাঁধাকপির উদ্যোক্তা কৃষক মো. আল ইমরান এবার ১৫০ বিঘা জমিতে বাঁধাকপির আবাদ করেছেন। রোববার (২২ জানুয়ারি) প্রথম চালান মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, রফতানিযুক্ত পুষ্টিকর ও নিরাপদ বাঁধাকপি উৎপাদনে সব রকম পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ।’