বীরগঞ্জে গত সোমবার বিকেলে ৩৯নং-কল্যানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর জমি জবর দখলের ঘটনায় জেলা শিক্ষা অফিসারের সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শপন কুমার রায় চৌধুরী প্রধান শিক্ষক আর্জিনা বেগমের লিখিত অভিযোগের পৃক্ষিতে ভুমি দস্যু কর্তৃক ৩৯নং-কল্যানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি জবর দখলের দৃশ্য পরিদর্শন করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী প্রাথমিক অফিসার শিক্ষা মোঃ সাইফুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সহকারী শিক্ষা অফিসার (ক্লাসটার) মোঃ মনিরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষা অফিসার পরিতোষ চন্দ্র রায়, প্রধান শিক্ষক অসুস্থ (হার্ড সাজারী) মোছাঃ আর্জিনা বেগম, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা, মদনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত) মোঃ রেজাউল করিম দুলাল ও অন্যরা।
দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শপন কুমার রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ১৯৬৩ইং প্রাথমিক শিক্ষার মহা পরিচালক বরাবর ২ দশমিক ৯১ একর জমি রেজিষ্ট্রি দলিল মুলে প্রদান করেছে। উল্লেখিত জমির মধ্যে ২৪ শতক পতিত জমি এসএমসি’র সভাপতি খালেক সরকার তার নামে ৮ শতক জমি বেআইনী ভাবে বিআরএস রেকর্ড (বাংলাদেশ মাঠ পর্চা) করেছে ও ১৬ শতক জমি স্কুলে নামে জরিপ তোলা হয়েছে। এসএমসি’র সভাপতি খালেক সরকার উসকিয়ে দিয়ে বুলু আহমেদকে দাতার ওয়ারিশ সাজিয়ে ১৬ শতক জমিতে ইট ও বালু ফেলে জবর দখল করছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের দেয়ালের সাথে এসএমসি’র সভাপতি খালেক সরকার করাতকল বসিয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিপন্ন করছে। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে আইন শৃঙ্খলা সভায় অবহিত করবেন এ বিষয়ে তিনিই ব্যাবস্থা নিবেন।