পরিবেশ বান্ধব ও জমির মূল্যবান মাটি নষ্ট না করেই জার্মান প্রযুক্তিতে আগুনে না পুড়িয়ে দিনাজপুরে প্রথম পাথর গুঁড়া ও সিমেন্ট দিয়ে অত্যাধুনিক ব্লক ইট তৈরির জন্যে গড়ে তোলা হয়েছে একটি কারখানা।
জ্বালানি ও মাটির ব্যবহার ছাড়াই ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বড়পুকুরিয়া খনির পাথর, পঞ্চগড়ের নুড়ি পাথর, পাথরের গুড়া, সিলেকশন সেন্ড, সিমেন্টসহ বেশকিছু উপকরণ। এতে উর্বর জমি রক্ষা পাবে ও বায়ু মন্ডলের দূষণ হবে না। এছাড়াও বাড়ী তৈরীতে এই ইট ব্যবহারে অনেক খরচ কমে যাবে বলে সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন। এতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয়রা খুশি।
দিনাজপুর সদরের লালবাগ বাঁধ এলাকায় নদী ও কৃষি জমির পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে ‘গ্রীন বেরী ব্রিক্স ইন্ড্রাস্ট্রি লিমিটেড’ নামে এক অত্যাধুনিক ইট তৈরির কারখানা।
শ্রমিকরা কারখানার পাশে পাথর, সিমেন্ট, সিলেকশন সেন্ড ট্রলিতে এনে হপারে ঢেলে দেয়। পরে মিকচার মেশিনে অন্যান্য উপকরণ মিশ্রিত করে কনভেয়ার বেল্টে দিয়ে ভাইব্রো মাল্টি ক্যাভিটি মোল্ডিং মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এই ইট। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সারি-সারি ভাবে মেশিন থেকে বেড়িয়ে আসে পরিবেশ বান্ধব এই ইট। দৈনিক ২০ হাজার ইট ব্লক শ্রমিকরা কারখানার পাশেই সংরক্ষণ করেন বিক্রির জন্য। এ অত্যাধুনিক ইট ক্রয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকে।
গ্রীন বেরী ব্রিক্স ইন্ড্রাস্ট্রি লিমিটেডের পরিচালক গালিব জানান, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জ্বালানি, মাটির ব্যবহার ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ইট। কারখানাটিতে এখন অর্ধশত মানুষ কাজ করছেন। সরকারি নির্দেশনা মানা হলে এ ধরনের উদ্যোগে এগিয়ে আসবে অনেকে। এতে রক্ষা পাবে উর্বর জমি ও বায়ু মন্ডলের দূষণ। এছাড়াও এই ব্রিকস দিয়ে বাড়ী নির্মাণ করলে ৪০% পর্যন্ত খরচ কমানো সম্ভব।’
তিনি আরও জানান, ‘২ শিফটে ২০ জন করে কাজ করেন শ্রমিকরা। এছাড়াও ৪ জন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। অটোমেটিক মেশিনের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বে যা তৈরি হয়, এখানেও তা তৈরি করা যায়।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, ‘আগুনে না পুড়িয়েই এ প্রক্রিয়ায় ইট তৈরি হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে এবং উর্বর জমি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এজন্য পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ প্রযুক্তিতে ইট তৈরিতে উৎসাহিত করছে সরকার।’
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪