দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসব। গতকাল সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে স্কুলের বারান্দায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমি। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ ধরনের পিঠাপুলি তৈরি করে।
পিঠা উৎসব-এ ছিল ধান সেমাই, ভাপাপুলি, দুধপুলি, আওলা কেশরি, ঝিনুক পুলি, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী ও গোলাপ পিঠা। আরও ছিল চিতই, কানমুচরি, পায়েশ, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ক্ষীর, মুঠাপিঠা, রস গোলাপ ও কেক।
বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পিঠাপুলি। আধুনিকায়নসহ নানা কারণে বর্তমান প্রজন্ম অনেক পিঠাপুলির সঙ্গেই আজ অপরিচিত। এমন অনেক পিঠাপুলি আছে যা আমাদের সমাজ থেকে একেবারে হারিয়ে গেছে।
স্কুলে পিঠার এই বিশাল সম্ভারে জানা-অজানা পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে খুশি শিশু শিক্ষার্থীরা। পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি তাদের পিঠার স্বাদগ্রহণ করায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম আক্তার বলে, ‘এসব পিঠার মধ্য থেকে বেশকিছু পিঠা আমি আগে খেয়েছি। বাকি অনেক পিঠা আজ প্রথম দেখলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে।’
পিঠা উৎসবে নিজের শিশুসন্তানকে নিয়ে বসে ছিলেন তানিয়া বেগম নামে এক অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। অনেক রকমের পিঠা স্কুল কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছে। সন্তানদের পাশাপাশি আমরাও পিঠাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে পারলাম।’
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বইয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা বেশি পিঠার নাম মনে রাখতে পারে না। তাই আমরা বাস্তবে তাদের পিঠার সঙ্গে পরিচিত করালাম। এতে তারা বাঙালির ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নানা রকম পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে।’
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪