যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে মহামারি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের। যার খারাপভাবে প্রভাব পড়ছে সারাবিশ্বে। এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পরিস্থিতি দিন দিন আবারও ভয়াহ হচ্ছে।
দেশে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রথম ওমিক্রন ধরা পড়ে । সবশেষ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) নতুন আরও ১০ জনের দেহে ওমিক্রন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। বর্তমান দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা দরকার।
এদিকে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত ২০ জনের রিপোর্ট পেয়েছি। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী আরও থাকতে পারে। হয়তো তারা আমাদের শনাক্তের আওতায় নেই।
দীর্ঘদিন শনাক্তের হার ১ ও ২ শতাংশে থাকলেও বর্তমানে তা বেড়েই চলছে। এর কারণ শুধু ওমিক্রনই নয় ডেল্টাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তিনি আরও বলেন, এখন যেরকম সংক্রমণ হচ্ছে, তার একটা সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই ওমিক্রন দিয়ে শনাক্ত হচ্ছে। ওমিক্রন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখনো ডেল্টাকে রিপ্লেস করতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত ডেল্টাই প্রধানত বিস্তার করছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্তের হার বাড়ার পেছনে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়কে দায়ী ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা দরকার।
দেশে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সন্তোষজনক উল্লেখ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে গতি আরও বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪