রাজধানীর কেরানীগঞ্জে আইকন ডিস্ট্রিবিউশনের গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মেয়াদোত্তীর্ণ এবং নকল প্রসাধনী ও খাদ্যসামগ্রী জব্দ করেছে র্যাব। ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিটির মালিক ও কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় টিভিএস মোটরসাইকেল শোরুমের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালায় র্যাব-১০-এর একটি দল। জনসন বেবি লোশন, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ক্রিম এবং ক্লিয়ার শ্যাম্পুসহ নামিদামি ব্রান্ডের সব পণ্য। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বলে ডিস্ট্রিবিউশন করা হচ্ছে রাজধানীর বড় বড় শপিংমল থেকে শুরু করে পাড়ার দোকানে। তবে সব পণ্যই মেয়াদোত্তীর্ণ।
ধরার কোনো উপায়ই নেই যে এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য। কারণ পণ্যগুলোর গায়ে লেবেল পরিবর্তন করে নতুন লেবেল লাগিয়ে বিভিন্ন শপিংমল এবং দোকানে বিতরণ করে আসছে আইকন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এ ছাড়া গোডাউনে নকল পণ্য তৈরি করে বিদেশি পণ্য বলে চালিয়ে দিত কোম্পানিটি।
র্যাব-১০-এর উপ-অধিনায়ক শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান জানান, প্রসাধনী পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য এবং শিশুদের প্রসাধনীও বিক্রি করত তারা।
জিয়াউর রহমান বলেন, বিভিন্ন বিদেশি পণ্য যখন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায় তখন রিপ্যাক করে কিংবা অবৈধ ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে তারা এগুলো নতুন করে বাজারজাত করে।
অভিযানে অংশ নেওয়া বিএসটিআই কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, অনুমোদন ছাড়াই বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে আসছিল কোম্পানিটি। বিএসটিআইএর ফিল্ড অফিসার আফসানা হোসেন বলেন, আমদানি ঠিকই করছে কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর তারা এগুলোকে টেম্পার্ড করে এবং বেশির ভাগ পণ্যে আমরা সরকারি অনুমোদন দেখতে পাইনি।
ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিটির মালিক ও কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪