বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, তদন্তের পর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে বগির ২৯টির মতো সিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বগির ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ বলা যাবে। তবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’ ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত বগি সরিয়ে বিকল্প বগি সংযোগ করে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট দেরিতে ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে রেলের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলস্টেশন পরিদর্শনে আসেন সিলেট রেল বিভাগের পুলিশ সুপার শেখ শরিফুল ইমলাম। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ট্রেনটি রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা। ৩ নম্বর প্লাটফর্মে দরজা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ ধোঁয়া দেখা যায়। তিনি আরো জানান, কোচটির ভেতর থেকে দুটি বোতল পাওয়া গেছে যাতে পেট্রলের গন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে এটা দেশব্যাপী চলমান নাশকতার অংশ হিসেবে দেখেছেন তারা।
মেয়রের দাবি বিএনপির নাশকতা : রেলের বগিতে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরিদর্শন শেষে তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন তা ইতোমধ্যে তারা প্রমাণ করেছে। ঢাকায় তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে, হত্যা করেছে। আজকের সিলেটে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটল, ট্রেনটি যাত্রার জন্য দাঁড়িয়েছিল। যাত্রীরা উঠছিলেন। তখনই তারা যাত্রী বেশে ট্রেনে উঠে সেখানে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে। এখানে প্রচুর হতাহত হওয়ার শঙ্কা ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে কিছু হয়নি।’\
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪