সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে মামলাটি সতর্কতার সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৯ মে) দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৬ আসামিকে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এ সময় আসামিদের মধ্যে সুমন দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে আদালত বাকি ৫ আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- আরিয়ান, সাজু, সাইফুল, সোহাগ ও মনোয়ার। এর আগে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (২৮ মে) মানিকগঞ্জে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী পোশাককর্মী। এদিন সন্ধ্যায় সেখান থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন তিনি। পথে সাভারের নবীনগরে এলাকার এক বড়ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। রাতে তারা দু’জন একটি মিনিবাসে করে টঙ্গীর উদ্দেশে রওয়ানা হন।
পথে সব যাত্রী নেমে গেলে বাসচালক বিভিন্ন স্থান থেকে তার কয়েকজনকে সহযোগীকে বাসে তুলেন। পরে তরুণীর সঙ্গে থাকা ছেলেকে আটকে রেখে চলন্ত বাসেই এর চালক ও তার সহযোগীরা তাকে ধর্ষণ করে। রাত ১১টার দিকে বাসটি বিশমাইল এলাকায় পৌঁছালে ওই গাড়ি থেকে ভুক্তভোগী তরুণী ও ছেলেটির চিৎকার শুনতে পায় টহলরত পুলিশ। এ সময় বাস থামিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত চালক ও তার সহযোগীদের।
নির্যাতিতা ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ওই তরুণীর বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ১০ নভেম্বর আশুলিয়ার মরাগাং এলাকায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটে। আশুলিয়া এলাকায় বারবার এ ধরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি রাস্তায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪