রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা আসন্ন গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহের

আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে বাংলাদেশ রেকর্ড তাপপ্রবাহের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর একদল বিশেষজ্ঞ। সামনে আসছে অসহনীয় গরমের দহন জ্বালা।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের জনজীবন। এখন ভরা বসন্তে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া মুছে গিয়ে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিন।

জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বলছে, গত ১০ মাসে বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা দীর্ঘমেয়াদি গড়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা কোনো নিশ্চল অবস্থায় নেই। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরের এল-নিনোর প্রভাবে জলতলের তাপমাত্রাও বেড়ে গেছে। ফলে ভারত মহাসাগর, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে জলীয় বাষ্পের জোগানে টান পড়েছে।

গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা এখন বাড়তেই থাকবে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ২/৩টি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ২/৩টি মাঝারি আকারের এবং এক থেকে ২টি তীব্র কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়াবিদগণ পূর্বাভাস দিয়ে বলছেন, এপ্রিল মাসটি বাংলাদেশের জন্য এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময় হয়ে আসছে। এপ্রিল মাসে তীব্র তাপপ্রবাহ, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আর কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের দাপট থাকবে। তাপমাত্রার তীব্রতা এপ্রিলে চরমভাবাপন্ন থাকতে পারে, বিশেষ করে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। ঐ অঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে; যার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে।