‘আমি ট্রিগার চেপে ধরেছিলাম, কত রাউন্ড গুলি বের হয়েছে জানি না। পিস্তলে গুলি শেষ হয়ে যাওয়ার পর পিস্তলটি হাতে নিয়েই শামীমের মোটরসাইকেলে উঠি। আমার পুরনো মামলাগুলো থেকে রেহাই পেতেই আমি এই ঝুঁকি নিয়েছিলাম। এ কাজের জন্য কোনও টাকা দাবি করিনি। তারাও আমাকে টাকা দিতে চায়নি। তবে আমার সব মামলা শেষ করতে যত টাকা খরচ করা প্রয়োজন সবই দিতে রাজি হয়েছিল তারা। টিপু সাহেবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা ছিল না’–মতিঝিলের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ এসব বক্তব্য দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে সে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এর আগে গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে ঢাকার শাহজাহানপুর আমতলা এলাকার যানজটে আটকে থাকা গাড়িতে জাহিদুল ইসলাম টিপুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় যানজটে রিকশা আরোহী কলেজ শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
আলোচিত এই ঘটনার দ্বিতীয় দিনে শুটার মাসুমকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের খিলগাঁও জোনাল টিম। একই ঘটনায় দুই দিন আগে র্যাব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে মতিঝিলের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক ওরফে কানা ফারুকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার হয়। এছাড়া অস্ত্রসহ মতিঝিল এলাকার আরফান উল্লাহ ওরফে দামাল নামে যুবলীগ নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মাসুমের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় আরফান, শামীম, মানিক ও মুসার নাম উঠে এসেছে।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪