ভরা মৌসুমে কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম যেন কৃষকরা পায়। এ কারণে দেশের কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা খামারবাড়িতে আইপির আবেদন করলেও আইপি দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আসছি। আমার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির আইপি করা আছে, সেগুলো দিয়েই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। সরকার সাময়িক আইপি বন্ধ রেখেছে। তবে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। গত বছর এ সময় সরকার পেঁয়াজের আইপি বন্ধ করেছিল, এবারো বন্ধ করেছে। কারণ দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম যেন কৃষক পাই।
হিলি স্থলবন্দরের আরেক আমদানিকারক জানান, সরকার আইপি দেওয়া বন্ধ করে দিলেও বন্দরের আমদানিকারকদের ২০ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজের আইপি রয়েছে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে, যা আগামী দুই থেকে আড়াই মাস আমদানি করা যাবে। তবে এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে ও ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদাও খুব একটা নেই।
বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকার বলেন, হিলি স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ আমদানির ফলে দেশের পেঁয়াজ চাষিরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হারাচ্ছে আবাদে আগ্রহ।
এদিকে ভারত, মায়ানমারসহ বার্মা পেঁয়াজের দাপটে দেশি পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। এভাবে বহির্বিশ্ব থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে কৃষক পথে বসবে। আমরা ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হব। সরকার কৃষকদের কথা চিন্তা করে পেঁয়াজের আইপি বন্ধ করে দিয়েছে এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, অফিসিয়ালি পেঁয়াজের আইপি বন্ধের এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমদানিকারকরা আইপির জন্য আবেদন করলেও সার্ভারে আইপি (স্টপ) দেখাচ্ছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪