গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে দিনাজপুরে টানা বৃষ্টি । তলিয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন সড়ক। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এমনকি নিচু এলাকার বাসাবাড়ির ভেতরেও ঢুকে পড়েছে পানি।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শহরের কাঁচাবাজারসহ নিচু এলাকার বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে ড্রেনগুলো। এতে রাস্তায় উঠে গেছে ড্রেনের ময়লা। ডুবে গেছে কৃষকের বোরো ধান।
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট আছে খেটে খাওয়া দিনমজুররা। শহরের কলিতালা এলাকার ভুবন রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে শহরের রাস্তাঘাট, বাজারসহ নিচু এলাকার কিছু বাড়িতে পানি উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষ খুব দুর্ভোগে পড়েছেন।
নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার আবুল কাশেম বলেন, ড্রেন-রাস্তাঘাটগুলো মেরামত না করায় শহরের এই অবস্থা হয়েছে। বৃষ্টিতেই দিনাজপুর শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
শহরের লিলি মোড়ের অটোচালক রইসুল ইসলাম বলেন, গত তিন দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় পানি উঠেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। তাই আমরাও যাত্রী পাচ্ছি না। বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। কয়েক দিন থেকে খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।
বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি এলাকার কৃষক জাকির হোসেন বলেন, টানা তিন-চার দিন ধরে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ধানের জমি। দীর্ঘদিন ধানের চারা পানিতে ডুবে থাকলে ক্ষতি হতে পারে। আর দুয়েক সপ্তাহ পরে ধান বের হবে। খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি দিনাজপুরের নদী-নালাগুলো খনন করা হয়েছে। নদী খননের বালুগুলো নদীর দুই ধারে বাঁধ হিসেবে রক্ষা করছে। তবে টানা কয়েক দিন ধরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এরকম বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি বা ওপরে উঠতে পারে।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪