ওপারে আটকে পড়া পেঁয়াজ রফতানি আবারও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করেনি। নতুন করে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ভারত সরকার গত সোমবার হঠাৎ করে কোনো কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। পরে শুক্রবার একটি নোটিফিকেশন জারি করে যে, গত রোববার টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো তারা রফতানি করবে। সেই মোতাবেক অনুমতি দেয়ায় গতকাল শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে। যে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রফতানি করেছে তার অধিকাংশ পেঁয়াজই ইতোমধ্যে পচে নষ্ট হয়ে পানি ঝরছে। এ কারণে আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ নিয়ে এসেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এখনও ২০০’র বেশি পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া যে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের এলসি দেয়া রয়েছে তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এগুলোর বিষয়ে তারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা কী করবে তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। তিনি বলেন, আজ (রোববার) বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ প্রবেশ করবে কিনা সে বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কারণ শুধু গত রোববারের টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজ রফতানির জন্য অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু নতুন করে কোনো নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ভারতীয় কাস্টম বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ রফতানি করতে দেবে না।
এদিকে আমদানি হওয়ায় ভালোমানের কিছু পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে আজ ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা লুৎফর রহমান ও সিদ্দিক হোসেন বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় কয়েক দিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার বেশ চড়া। পেঁয়াজ আমদানির খবরে কিছুটা কমলেও আমদানি না হওয়ায় দাম আবারও বেড়ে যায়। শনিবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে বন্দরের আড়তগুলোতে পেঁয়াজের দাম গতকালের চেয়ে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪