দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে রানীরবন্দরে জন্মদাতা জীবিত মা’ কে মৃত্যু দেখিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি দেয়ায় মা ও মেয়ে দু-পক্ষের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ ও সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় আদালতে ও থানায় দু পক্ষের মামলা মোকদ্দমা শুরু হয়েছে।
ঘটনা অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কিসমত নশরতপুর মৌজার জে এল নং ১৩ দিনাজপুর- রংপুর মহাসড়কের ধারে ১২ শতক জমির মধ্যে মৃত তমিজুদ্দিনের পুত্র আব্দুস সামাদ ৩ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন। এরপর তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে পৈত্রিক জমির ওই অংশ দাবি করেন। এ নিয়ে ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ মারামারি লেগেই থাকত। কয়েকবার স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়।
আব্দুস সামাদের পুত্র ওয়ারেজ আলী জানান, তার দুই বোন হালিমা খাতুন ও খালেদা বানু ভূয়া মাঠপর্চা, খাজনা খারিজ না থাকা, সুন্নী ফারায়েজ না থাকা, জীবিত “মা” কে মৃত দেখিয়ে ও ওয়ারীশ গোপন পূর্বক প্রকৃত তথ্য আড়াল করে জমির দখল না থাকা সত্ত্বেও বড় ভাই আব্দুল হকের ছেলে ভাতিজা সাইদুর রহমানের কাছে পৌনে ১ শতক জমি দানপত্র করে। দলিল নং ১৮২৯/২০। উক্ত জমি দখল নিতে ভাতিজা সাইদুর রহমান কয়েকবার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
এ ব্যাপারে আব্দুস সামাদের পুত্র ওয়ারেজ আলী, আব্দুর রহমান ও আব্দুল হামিদ এর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, পৈত্রিক সূত্রে এ জমি তারা প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু বড় ভাই আব্দুল হকের ছেলে ভাতিজা সাইদুর রহমান আমাদের বোনের কাছে কৌশলে জমি নিয়ে জোরপূর্বক দখল নিতে চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ওই জমির নতুন দলিল বাতিল চেয়ে জেলা রেজিষ্ট্রারের কাছে অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার উম্মে সালমার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দলিল লেখক দলিলটি উপস্থাপন করলে তিনি রেজিস্ট্রি করে দেন। এ ছাড়াও জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবর একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে। খাজনা খারিজ, দখল, রেকর্ড দেখে রেজিষ্ট্রি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের তিনি কোন সদুত্তর দেননি। দলিল লেখক জামাল উদ্দিন বলেন, জমির দাতাগণ পৈত্রিকসূত্রে ওয়ারিশ। তারা (দাতা) যেভাবে বলেছেন ও নীতিমালা অনুয়ায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে দলিল লেখা হয়েছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪